ভোরে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহেতের বয়স আনুমানিক ৬৩ বছর। তবে তাৎক্ষণিক তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গণপিটুনীতে সন্দেহভাজন দুই চোরের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, সাস্প্রতিক সময়ে সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন গ্রামে ডাকাতের উৎপাত বেড়ে গেছে। গত এক মাসে সীতাকুণ্ডে ১৩টি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে তিনটি ঘটনায় খাবারের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে সবকিছু লুট করে নেয় ডাকাতরা। ওই তিন পরিবারের শিশুসহ অসুস্থ ৩০ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ডাকাতের হাত থেকে বাঁচতে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে পাহারা দিচ্ছিল। এরই মধ্যে গণপিটুনির এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণকারীকে গণপিটুনী
সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিকের ভাষ্য, গ্রামে ডাকাত আসার খবর পেয়ে এলাকার যুবকরা দল বেঁধে পাহারা দিচ্ছিল। ভোরের দিকে ১২-১৩ জনের ডাকাত দল গ্রামে প্রবেশ করলে তাদের ধাওয়া করে একজনকে ধরে ফেলে। পরে গ্রামবাসীরা মিলে তাকে গণপিটুনি দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই ডাকাতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা নেয়াসহ ৪ দাবিতে চট্টগ্রামে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ওসির ভাষ্য, গত এক বছরে ৭৫ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তারা জামিনে বেরিয়ে আবার ডাকাতিতে লিপ্ত হয়।